দেয়ালের ছবি গল্পের সারমর্ম
১. এক বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ দেয়ালে আঁকা ছবি তুমি কোথায় কোথায় দেখেছ?
উত্তর= দেয়ালে আঁকা ছবি আমি বিভিন্ন মিউজিয়াম,বইমেলা এবং অনেকের বাড়িতেও দেখেছি।
১.২ অনেক অনেক দিন আগে মানুষ কোথায় বাস করত ?
উত্তর= অনেক অনেক দিন আগে মানুষ ঘনবনে গ্রামে বাস করত।
১.৩ তখন তাদের কীভাবে দিন কাটত?
উত্তর= তখন তাদের বড়ো আনন্দে দিন কাটত,চাষ করত,শিকার করত এবং বনের ফল-পশুপাখি খেয়েই দিন কাটাতো।
২. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো :
ম ব স য় স = সবসময়
ন ক নে দি অ = অনেকদিন
ল দে য়া = দেয়াল
র অ ম ক ন্য = অন্যরকম
ম ম ছা ছি = ছিমছাম
৩. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৩১. সে ছিল বড়ো সুখের দিন।
৩.২ এমনি করে একদিন এক বাঘের সঙ্গে তার দেখা হলো।
৩.৩ বাঘ বলল, এ আর এমন কী।
৩.৪ বলল, আমার ঠাকুরদা মস্ত শিকারি ছিলেন।
৩.৫ আমার বাবা তিনি, মানুষ ছাড়া আর কী হবেন ?
৪.ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো :
৪.১ দেয়ালের ছবিটি এঁকেছিল ( শিকারি / শিকারির বাবা / শিকারির ঠাকুরদা / বাঘ )।
উত্তর- শিকারির বাবা ।
৪.২ অনেক অনেক দিন আগে আমাদের দেশে ছিল ( ঘন বন / মরুভূমি /বড়ো বড়ো পাহাড় / বিশাল সমুদ্দুর )।
উত্তর- ঘন বন ।
৪.৩ বনের পশুপাখিরা শিকারিকে (ভালোবাসত / ঘৃণা করত / ভয় পেত / উপহাস করত )।
উত্তর- ভয় পেত ।
৪.৪ গল্পের বাঘটি ভালো (গান গাইত / গল্প বলত / ছবি আঁকত /কথা বলত )।
উত্তর- কথা বলত ।
৪.৫ শিকারি বাঘকে খেতে দিয়েছিল ( গরম দুধ / মাংস / ঠান্ডা জল / চা ) ।
উত্তর- ঠান্ডা জল
৫. বর্ণ বিশ্লেষণ করো।
অনেকক্ষণ- অ+ন্+এ+ক্+ক্+ষ্+অ+ন্
পরিষ্কার- প্+অ+র্+ই+ষ্+ক্+আ+র্
কথাবার্তা- ক্+অ+থ্+আ+ব্+আ+র্+ত্+আ
অন্যরকম- অ+ন্+য্+অ+র্+অ+ক্+অ+ম্
নেকড়ে- ন্+এ+ক্+ড়্+এ
৬. অর্থ লেখো:
আঁধার- অন্ধকার
আপত্তি- অসম্মতি
দাওয়া- বারান্দা
লোটা- ঘটি
ডাগর- উৎকৃষ্ট
৭. সমার্থক শব্দ লেখো:
বিশাল- উদার,বৃহৎ
বাঘ- ব্যাঘ্র, শার্দূল
মজা- সুখ,কৌতুক
ছবি- চিত্র,কান্তি
বাবা- পিতা,জনক
জল- বারি,নীর
বন্ধু- বান্ধব,মিত্র
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো
অনেক- অল্প
দিন- রাত
ঘন- তরল
সুখ- দুঃখ
ঠান্ডা- গরম
মস্ত- ক্ষুদ্র
৯. গল্পটিতে কয়েকটি জোড়া শব্দ আছে। একটি যেমন— বনে বনে। এরকম আরও দুটি জোড়া শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর- অনেক-অনেক, চেটে-চেটে, বড়ো-বড়ো
১০. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
গা-শরীর
গাঁ-গ্রাম
তির-নদীর কূল
তীর-ধনুকের বাণ
বাড়ি-ঘর
বারি-জল
জিভ-জিহ্বা
জীব-প্রাণী
হতো-হয়
হত-হত্যা
১১. 'চোখ' শব্দটিকে পাঁচটি আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য রচনা করো।
উত্তর=
চোখ(ইন্দ্রিয়)- চোখ দিয়ে আমরা দেখতে পাই।
চোখ(অবাক)- তার কথা শুনে আমার চোখ কপালে উঠে গেল।
চোখ(নজর)- আমার বোনকে একটু চোখে চোখে রাখিস।
চোখ(রোগ)- শরীরের দোহায়ে আমার চোখ উঠেছে।
চোখ(অন্ধ)- সে এমন ভাবে চলছে যেন চোখের মাথা খেয়েছে।
১২. বাক্য রচনা করো:
চাষ- গ্রামে গ্রামে এখনোও চাষ হয়।
মেঝে- শীতকালে বাড়ির মেঝে খুব ঠান্ডা হয়।
আঁকা- তার আঁকা প্রাকৃতিক ছবি খুব মনোরম হয়।
বিরাট- পৌরাণিক গল্পে রাজাদের বিরাট সাম্রাজ্য হতো।
দেওয়াল- ওদের বাড়ি দেওয়াল গুলো মার্বেল পাথরের।
১৩. বাক্য বাড়াও :
১৩.১) শিকারি জল এনে দিল। (কোথা থেকে, কেমন জল ?)
উত্তর- শিকারি লোটায় করে পুকুরের ঠান্ডা জল এনে দিল।
১৩.২) দুজনে রওনা দিল। (কোথায়?)
উত্তর- বনের পথে দুজনে শিকারির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
১৩.৩) সকালে বেরিয়ে যায়। (কোথা থেকে?)
উত্তর- শিকারি গায়ের ঘর থেকে সকালে বেরিয়ে যায়।
১৩.৪) বাঘ হাসল। (কেমন করে?)
উত্তর- বাঘ গোপের ফাঁকে মুচকি হাসলো।
১৩.৫) দুজনেই বন্ধু হয়ে গেল। (কেমন বন্ধু?)
উত্তর- প্রায় প্রতিদিন দেখা হওয়াতে দুজনেই খুব বন্ধু হয়ে গেল।
১৪.)
১৪.৩) বাঘ বলল,... বন্ধুর বাড়ি যাব তাতে আর আপত্তি কি!
১৪.৪)বাঘ ঘরে ঢুকে মাটির ঠান্ডা মেঝেয় বসে পড়ল।
১৪.২)বাঘ হঠাৎ চোখ ফিরিয়ে ঘরের দেয়ালে একটা হাতে আঁকা ছবি দেখতে পেল।
১৪.১)শিকারি খুব মজা পেয়েছে।
১৪.৫)বাঘ বলল.... তা এটা কি মানুষের আঁকা?
১৫. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১৫.১) গল্পের শিকারিটি কীভাবে তার দিন কাটাত?
উত্তর= গল্পের শিকারি তার গায়ের ঘর থেকে সকালে বেরিয়ে পড়ত,বনেই ঘুরত এবং গাছের ফল খেত,পাখি শিকার করে বনেই রান্না করে খেত।অনেক আনন্দে দিন কাটাতো।
১৫.২) বনে শিকারির প্রিয় বন্ধুটি কে? তাকে সে একদিন কী প্রস্তাব দিল।
উত্তর= বনে শিকারির প্রিয় বন্ধুটি ছিল একটি বাঘ।
শিকারি একদিন তাকে একদিন তার বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দিল।
১৫.৩) উত্তরে তার বন্ধু তাকে কী বলল?
উত্তর= উত্তরে শিকারির বাঘ বন্ধু রাজি হলো এবং তখনই যাবার অনুমতি দিল।
১৫.৪) গল্পে শিকারির বাাড়িটি, কোথায়?
উত্তর= গল্পে শিকারির বাড়ি এক বনের ধারের গাঁয়ে।
১৫.৫) তার ঘর-বাড়ির চেহারা কেমন?
উত্তর= মাঠের ফসলের জমির পাশে শিকারির বাড়ির চেহারা চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো পরিষ্কার সুন্দর এবং মাটির মেঝেটাও অনেক আরামের ঠান্ডা।
১৫.৬) শিকারি তার বাড়িতে প্রিয় বন্ধুর যত্ন কীভাবে করেছিল?
উত্তর= শিকারি তার বাড়িতে প্রিয় বন্ধুকে লোটায় করে ঠান্ডা জল খেতে দিল এবং তার বাপ ঠাকুরদার নিয়ে অনেক কথাও বলল।
১৫.৭) বাঘ হঠাৎ দেয়ালে কীসের ছবি দেখল ?
উত্তর= বাঘ হটাৎ দেয়ালে তার বাবার আঁকা এক ছবি দেখতে পেল যেটাতে একজন মানুষ শিকারি দাড়িয়ে রয়েছে, তার হাতে তির-ধনুক আর মাটিতে শুয়ে রয়েছে একটা বাঘ। শিকারি বড়ো বড়ো চোখে তাকিয়ে রয়েছে, যেন তার মনে হচ্ছে বিরাট কোনো কাজ করেছে।
১৫.৮) শিকারির মজা পাওয়ার কারণ কী?
উত্তর= শিকারির বাপ ঠাকুরদা দুজনেই মস্ত বড়ো শিকারি ছিলেন সেটা সে তার বাঘ বন্ধুকে বলাতে মজা পেয়েছে।
১৫.৯) নিজের ঠাকুরদা সম্পর্কে শিকারি কোন কথা বাঘকে বলল?
উত্তর= শিকারি তার ঠাকুরদার সম্পর্কে বাঘ কে বলেছিল তার ঠাকুরদা মস্ত শিকারি ছিলেন,বিশাল বাঘকে মেরে পায়ের তলায় রেখে দিয়েছেন,তার ঠাকুরদা নাকি বাঘ-নেকড়ে-চিতা কাউকে ভয় পেতেন না।
১৫.১০) সে ব্যাপারে বাঘ আগ্রহ দেখাল না কেন?
উত্তর= বাঘ শিকারির পুরো কথাটা খুব একটা বিশ্বাস করতে পারেনি,তাই সে কোনো আগ্রহ না দেখিয়ে হাই তুলল।
১৫.১১) বাঘের কোন কথা শুনে শিকারি অবাক হয়েছিল?
উত্তর= দেয়ালের আঁকা ছবিটি বাঘ জানতে চেয়েছিল কোনো মানুষের আঁকা কিনা,সেটা শুনে শিকারি অবাক হয়েছিল।
১৫.১২) দেয়ালের ছবিটির বিষয় কী ছিল? ছবিটি কোনো বাঘ আঁকলে, সেটির বিষয় কী হতো?
উত্তর= দেয়ালের ছবির বিষয়টি ছিল এক শিকারি একটি বাঘকে মেরে পায়ের তলায় রেখে দিয়েছে।
ছবিটি একটি বাঘ আঁকলে হয়তো বিষয়টা অন্য রকম হতো, একটি বাঘ একটি শিকারীকে মেরে পায়ের তলায় দাবিয়ে রাখত।