সোনা গল্পের সারমর্ম
সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর (হাতে কলমে)
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ সোনা কে? তার বাবা-মা কেন বাড়িতে বেড়া দিয়েছেন?
উত্তর:- সোনা এক চাষীর মেয়ে।
সে সারা উঠোনে হামাগুড়ি দেয়,যাতে বাইরে না চলে যায় তাই তার বাবা-মা বাড়িতে বেড়া দিয়েছেন।
১.২ নদীমা কীভাবে সোনার সারা গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছিলেন?
উত্তর:- একদিন সোনাকে নিয়ে তার বাবা-মা নদীতে স্নান করতে গেলে,স্নান করার পরে দেখে সোনার গায়ে বালি চিক চিক করে কিছুক্ষণ পর তার বাবা বলে এটা বালি না, নদীমা সোনার গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছেন।
১.৩ চোরটি সোনাকে কখন চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল?
উত্তর:- একদিন সোনার বাবা ক্ষেতে গেছেন আর তার মা রান্নাঘরে দুধে জ্বাল দিচ্ছিলেন,সেই সময় চোর এসে সোনাকে নিয়ে গিয়েছিল।
১.৪ কেন গ্রামটির নাম হলো ‘সোনারগাঁ’?
উত্তর:- নদীমা সোনাকে সোনার গয়না পড়িয়েছিলেন বলে সরকারের লোক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসে নদী থেকে সোনা উদ্ধার করতে, সেই থেকে গ্রামটির নাম হলো সোনারগাঁ।
১.৫ সরকারের লোকেরা কী কাজ করবে বলে সোনাদের গ্রামে এসেছিল?
উত্তর:- সরকারের লোক নদীতে সোনা খুঁজতে সোনাদের গ্রামে এসেছিল।
১.৬ কে সোনার নাম রেখেছিল নদীমাতৃকা? এই নামের অর্থ কী?
উত্তর:- পাঠশালের সংস্কৃতের দিদিমণি সোনার নাম রেখেছিল নদীমাতৃকা।
এই নামের অর্থ নদী যার মায়ের মতো।
১.৭ কেউ নদীর জল নোংরা করলে সোনা কী করত?
উত্তর:- কেউ নদীর জল নোংরা করলে সোনা বাঘিনির মত ছুটে আসে,একজনকে তো সে আধমরা করে ছেড়েছিল।
২. নদী আমাদের কী কী উপকার করে?
উত্তর:- নদী আমাদের নানাভাবে উপকার করে থাকে,যেমন- নদীর জল আমরা পান করি, নদীর জল চাষের কাজে লাগে, নদীতে মাছ চাষ করা হয়, নদীর জল কারখানার কাজে লাগে, মানুষের নিত্যপ্রয়ােজনীয় কাজে নদীর জল লাগে। এ ছাড়া পূজাঅর্চনার কাজে ও জলপথ পরিবহণেও নদী সাহায্য করে।
৩. এই গল্প থেকে এমন তিনটি বাক্য খুঁজে নিয়ে লেখো যেখানে ‘সোনা’ শব্দটি নানা অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
উত্তর:- ক) চাষির মেয়ে সােনা। (সােনা নাম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।)খ) গায়ের সােনায় রােদ লেগে ঠিকরােয়। (সােনা রং অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
গ) নদীতে সােনা খুঁজতে। (সােনা ধাতু অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।)
৪. ভারতবর্ষ ‘নদীমাতৃক’ দেশ। এখানে অনেক নদী আছে। নদীকে মায়ের মতন কেন বলা হয়?
উত্তর- মা যেমন তার সন্তানকে সবটুকু দিয়ে বড়ো করে তোলে,তেমনি নদীও আমাদের এই ভারতবর্ষকে আগলে রেখেছে। ভারতের সব বড়ো বড়ো শিল্প নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে। আমাদের ভারতীয় ইতিহাসে প্রায় সব সভ্যতায় নদীর কোলে গড়ে ওঠেছে।তাই ভারতবর্ষকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়।
৫. তোমার জানা তিনটি নদীর নাম লেখো।
উত্তর:- আমার জানা তিনটি নদী হলো- গঙ্গা,যমুনা আর সিন্ধু।৬. শব্দগুলো সাজিয়ে বাক্য গঠন করো :
৬.১ বড়ো হয়েছে একটু সোনা।
➯ সোনা একটু বড়ো হয়েছে।
৬.২ ছাড়লেন নদীমা-ও হাঁপ।
➯ নদীমা-ও হাঁপ ছাড়লেন।
৬.৩ ক্লাসে পাঠশালের উঁচু পড়ে।
➯ পাঠশালের উঁচু ক্লাসে পড়ে।
৬.৪ সোনারগাঁ হলো সেই নাম সেই থেকে গাঁয়ের।
➯ সেই থেকে সেই গাঁয়ের নাম হলো সোনারগাঁ।
৬.৫ চিকচিক বালি মেয়ের করে গায়ে।
➯ মেয়ের গায়ে বালি চিকচিক করে।
৭. এলোমেলো বর্ণ সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
কুকুলল= কুলকুল,
কেঢুঢেকে= ঢেকেঢুকে,
মাড়িগুহা= হামাগুড়ি,
ক্ষততণে= ততক্ষনে,
লসফ= ফসল,
মদিণিদি= দিদিমণি,
তাড়িতপা= পাততাড়ি,
কারসর= সরকার,
৮. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৮.১ চাষির ঘর আলো করে উঠোনে হামাগুড়ি দেয় ।
৮.২ গায়ের সোনায় রোদ লেগে ঠিকরোই।
৮.৩ তুই মেয়ের হাতে কাঁকন দিতে চাইছিলি।
৮.৪ সংস্কৃতের দিদিমণি নাম রেখেছেন নদীমাতৃক ।
৮.৫ আপনার মেয়ের কথা শুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি।
৯. ‘সোনা’ শব্দটি নীচের বাক্যগুলিতে কোথায় ব্যক্তি আর কোথায় বস্তু বোঝাচ্ছে লেখো :
৯.১ চাষির মেয়ে সোনা।
➯ সোনা ব্যক্তি অর্থে।
৯.২ মা ভাবে, সোনার হাতে দু-খানি কাঁকন দিলে বড্ড মানাত।
➯ সোনা বস্তু অর্থে
৯.৩ সোনার যা দাম।
➯ সোনা বস্তু অর্থে।
৯.৪ গায়ের সোনায় রোদ লেগে ঠিকরোয়।
➯ সোনা বস্তু অর্থে।
৯.৫ এ যে দেখছি সোনা!
➯ সোনা বস্তু অর্থে।
৯.৬ সোনার হাতে-গলায় সোনা চিকচিক করে।
➯ প্রথম সোনা ব্যক্তি অর্থে এবং দ্বিতীয় সোনা বস্তু অর্থে।
১০. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
অন্যগ্রাম= ভিনগাঁ,কনক= সোনা,
তটিনী= নদী,
কঙ্কন= কাঁকন,
নীর= জল,
নির্মল= পরিষ্কার,
১১. গল্পের ঘটনাক্রম সাজিয়ে লেখো :
উত্তর:-
ক) ১১.৪ নদীমা তোর মেয়ের গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছেন।
খ) ১১.১ এক চোর এসে সোনাকে তুলে নিয়ে চম্পট।
গ) ১১.২ সরকারের লোক যন্ত্রপাতি বসিয়ে সোনা খুঁজতে লেগে গেল।
ঘ) ১১.৫ সোনা বাবার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
ঙ) ১১.৩ সোনারগাঁ-র লোকেরা কেউ নদীকে নোংরা করে না।
১২. বিপরীতার্থক শব্দ :
গাঁ = শহর,
উঁচু = নীচু,
এক = অনেক,
সামনে = পিছনে,
মিথ্যে = সত্য,
১৩. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
কাঁকন ➯ ক্ + ৺ + আ + ক্ + অ + ন,
পরিষ্কার ➯ প্ + র + ই + ষ্ + ক্ + আ + র,
চম্পট ➯ চ্ + অ + ম্ + প্ + অ + ট,
যন্ত্রপাতি ➯ য্ + ন + ত্ + অ + র্ + অ + প্ + আ + ত্ + ই,
নদীমাতৃকা ➯ ন্ + দ্ + ঈ + ম্ + আ + ত্ + ঋ + ক্ + আ,
হিরণ্যবক্ষা ➯ হ্ + ই + র্ + ণ্ + য্ + অ + ব্ + অ + ক্ + ষ্ + আ,
১৪. কার্য-কারণ সম্পর্ক নির্ণয় করে পাশাপাশি বাক্য লেখো :
১৪.১ মেয়েকে আঁচল দিয়ে ঢেকেঢুকে চাষি-বউ বাড়ি নিয়ে এল।
কারণ: নদীমা মেয়ের সারা গায়ে সোনা পরিয়ে দিয়েছিল।
১৪.২ মা পাগলের মতো বাজাতে লাগল—ঢং ঢং ঢং... ।
কারণ: একটা চোর মেয়েকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল।
১৪.৩ আপনার মেয়ের কথা শুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি।
কারণ: নদীতে সোনা আছে, সোনা খুঁজতে।
১৪.৪ তুই যেন জলের মাছ।
কারণ: সোনা জলে মাছের মতো সাঁতার কাটে।
১৫. বাক্য রচনা করো :
হামাগুড়ি= ছোট বাচ্চারা হামাগুড়ি দিয়ে খেলা করে।
হনহনিয়ে= অমরকাকা ট্রেন ধরার জন্য হনহনিয়ে হাঁটছেন।
ইঞ্জিন= অনেকদিন চালানো হয়নি বলে ইঞ্জিনটি খারাপ হয়ে গেছে।
অদ্ভুত= সেদিন রাতে আকাশ অদ্ভুত ব্যবহার করছিল।
পিশাচ= সবাই বলে রাতের অন্ধকারে শ্মশানের ধরে পিশাচ দেখা যায়।
১৬. বাক্য বাড়াও :
১৬.১ একটুখানি জায়গা মায়ে বাপে বেড়া দিয়েছে। (কেন?)
উত্তর- একটুখানি জায়গা মায়ে বাপে বেড়া দিয়েছে যাতে তাদের সোনা হামাগুড়ি দিয়ে খেলতে খেলতে বাড়ির বাইরে না চলে যায়।
১৬.২ প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড দু-তিনটে গাড়ি আসছে। (কোথা দিয়ে?)
উত্তর- বড়ো রাস্তা হয়ে সরকারের প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড দু-তিনটে গাড়ি আসছে।
১৬.৩ যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি। (কেন?)
উত্তর- সোনার কথা শুনে তারা নদীতে সোনা খুঁজতে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে।
১৬.৪ সোনা ঠিক টের পায় যেখানেই থাকুক। (কী টের পায়?)
উত্তর- নদীকে কেউ নোংরা করলে সোনা ঠিক টের পায় যেখানেই সে থাকুক।
১৬.৫ ভিনগাঁয়ের লোকেরা এসে বলে। (কী বলে?)
উত্তর- ভিনগাঁয়ের লোকেরা এসে বলে বাঃ তোমাদের এখানে নদী তো বেশ পরিস্কার, আমাদের ওখানে এই নদীই যেন নর্দমা।
১৭. নদীতে কোন কোন প্রাণী বাস করে? সাঁতার কাটতে পারে কোন পাখি?
উত্তর:- নদীতে মাছ, সাপ, ঝিনুক, কচ্ছপ ইত্যাদি।পাফিম ও পেঙ্গুইন পাখি প্রভৃতি সাঁতার কাটতে পারে।