বন্ধুরা আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করবো তোমার চোখে তোমার দেশ এর ওপর বাংলা প্রবন্ধ রচনা যা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবন্ধ রচনা। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ বাংলা প্রবন্ধ রচনা পেতে অবশ্যই যুক্ত হও আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।
তোমার চোখে তোমার দেশ
ভারত আমার দেশ। এই ভারতে আমি বাস ফরি। এই দেশের পতিটি মানুষ, পাহাড় পর্বত, নদ নদী গাছপালা পশু পাখি এবং মৃত্তিকা আমার কাছে অতি প্রিয় ও পবিএ। ভারত আমার মাতৃভূমি, তাই এই দেশ আমার কাছে আমার মায়ের মতোই প্রিয়।
অবস্থান, সীমা, আয়তন ও ভারতের লোকসংখ্যা
এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ দিকে ভারত অবস্থিত। এই দেশের উত্তরে রয়েছে হিমালয় পর্বত প্রতিবেশী দেশ বলতে নেপাল, ভুটান ও চীন, আবার দক্ষিণ দিকে রয়েছে ভারত মহাসাগর ও শীলঙ্ক। পূর্ব- দিকে রয়েছে বাংলাদেশ, মায়নামার ও বঙ্গোপসাগর, এবং পশ্চিমে অবস্থিত পাকিস্তান ও আরবসাগর। ভারতের আয়তন প্রায় ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিমি। উত্তর দক্ষিণে বিস্তার প্রায় 3214 কিমি। পূর্ব পশ্চিমে বিস্তার প্রায় ২৯৩৩ কিমি। আয়তনের দিক দিয়ে ভারত পৃথিবীতে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে, ভারতের লোকসংখ্যা ২০১১ জনগননা অনুসারে ১২২ কোটি (বর্তমানে প্রায় ১৪০ কোটি )। লোকসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে ভারতের স্থান দ্বিতীয়, যা চীনের পরেই।।
আমার এদেশ ভূপ্রকৃতি ও বৈচিত্রে ভরা
কোথাও আছে মরুভূমি কোথাও পাহাড়, পর্বত কোথাও মলভূমি আবার কোথাও সমভূমি। এখানে নানা রকমের মৃত্তিকা লক্ষনীয়, লাল, কালো, রাদামি রঙের। এসব মৃতিকার ওপর ভিত্তি করেই ভারতে নান ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়। কোথাও জন্মায় পাইন, ফার, বাধ, জুপিনার, আবার কোথাও জন্মায় শাল সেলুন, পলাশ, মহুযা, আশ, জাম, কাঠাল, আবার কোথাও জন্মায় সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া পভৃতি। ভারতের উত্তরাংশ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে অবস্থিত আবার দক্ষিণাংশ উষ্ণমণ্ডলের অন্তর্গত।
ভারতের বিভিন্ন সম্পদ
এই দেশে কৃষিজ খনিজ ও শক্তি সমদের অভাব নেই। ভারতে জ্বালানি খনিজ, ধাতব খনিজ এবং অধাতব খনিজ পাওয়া যায়। কৃষিজ বনজ সম্পদ কে কেন্দ্র করে এই দেশে নানা রকম শিল্প ও কলকারখানা গড়ে উঠছে। এখানে, তাপবিদ্যুৎ, জল বিদ্যুৎ এবং পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
ভারতের ঐতিহ্য
বহু প্রাচীন সভ্যতার সাক্ষী আমার এই দেশ ভারতবর্ষ। সিন্ধু সভ্যতা তারই প্রমাণ। প্রাচীন কাল থেকেই এখানে জ্যোতির্বিজ্ঞান, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র, অংক শাস্ত্র, রসায়ন বিদ্যার চর্চা ছিল। কালে কালে তা এখান থেকে বহু দেশে ছড়িয়ে গেছে । বহু ভাষাভাষীর লোক যুগে যুগে এখানে এসেছেন এবং তারা কেউ ফিরে গেছেন আবার কেউ আমাদের দেশের সাংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছেন। তারা ভারতের সভ্যতার সংস্কৃতিকেও আপন করে নিয়েছে। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে লক্ষ্য করে কবি গেয়েছেন
নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধানবিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান
কিন্তু বর্তমানে বিচ্ছিন্নতাবাদ ভারতবাসীর এই বিশ্বাসীর মূলে কুঠোরে আঘাত করছে।
উপসংহার
আমার এদেশে আছে নানা সমস্যা দারিদ্র, অশিক্ষা, বাসস্থানের অভাব বেকারত্বের প্রভৃতির। এসব সত্ত্বেও ভারত নিজে লক্ষ্য পূরণের জন্য এগিয়ে চলেছে। হয়তো আবার কবির কথা অনুযায়ী ভারত “জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে”।