সত্যি সোনা গল্পের সারমর্ম
সত্যি সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর (হাতে কলমে)
Sotti Sona Golpo Question Answer |
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :-
১.১) বুড়ো চাষীর সংসারে কে কে ছিল?
উত্তর: বুড়ো চাষীর সংসারে বুড়ে চাষী সহ তার ছেলে আর তার ছেলের বউ ছিল।
১.২) চাষীর ছেলে কেমন প্রকৃতির ছিল?
উত্তর: চাষীর ছেলে ছিল ভারী অলস এবং টাকা-পায়সার লোভ ছিল ষোলো আনা।
১.৩) বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো ?
উত্তর: বাপের কথা শুনে ছেলের দুটো চোখ লোভে চক চক করে উঠল।
১.৪) বুড়ো চাষি কোন কথাটা তার ছেলেকে বলে যাননি?
উত্তর: বুড়ো চাষি তার ছেলেকে বলে গেছলেন তাঁর জমির তলায় সোনা পোঁতা আছে,কিন্তু ঠিক কোন জায়গায় আছে তা বলে যাননি।
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :-
২.১) চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল ?
উত্তর: চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি খুঁড়ে ফেলেছিল।
২.২) চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল?
উত্তর: চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ খুব খুশি হয়েছিল।
২.৩) গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা আছে। আর কী কী জিনিস দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে?
উত্তর: আমার জানা - কোদাল ছাড়া লাঙল, বেচলা, শাবল ইত্যাদি দিয়ে মটি খোঁড়া হয়ে থাকে।
৩) বন্ধনীর মধ্যে থেকে ঠিক উত্তরটা বেছে নিয়ে পুরো কথাটা আবার নীচে লেখো :-
৩.১) ছেলের দুটো চোখ লোভে চকচক করে ওঠে ।
৩.২) চাষীর ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী ।
৩.৩) বউ বলেছিল সোনা যদি পাও তবে আমাদের কপাল ফিরে যাবে ।
৩.৪) চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা বাজারে বিক্রি করে ।
৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো :-
৪.১) চাষীর ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?
উত্তর: চাষীর ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতেই পারত না কারণ সে ছিল খুবই অলস প্রকৃতির মানুষ। যে কিনা তার বাবার কাছে তাদের জমিতে সোনা লুকানো আছে বলে শোনার পরেও মজুর লাগিয়ে তার খোজার চেষ্টা করেছে।
৪.২) শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তর: বুড়ো চাষীর বলা লুকোনো সোনা পাওয়ার জন্য চাষীর ছেলে নিজে মাটি না খুঁড়ে মজুর লাগায়, কিন্তু সেই মজুররা যদি সোনা পেয়ে সব সরিয়ে দেয় সেই ভয়ে এবং বউয়ের কথায় শেষ পর্যন্ত চাষীর ছেলে মাঠে কাজ করতে যায়।
৪.৩) চাষীর ছেলের বউ কোন সময়কে বীজ বোনের উপযুক্ত সময় বলেছে?
উত্তর: বুড়ো চাষী বর্ষা নামার কদিন আগে মটি খুঁড়ে বীজ বুনতো, তার ছেলের বউ এই সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।
৪.৪) সে কোথা থেকে বীজ কিনে এলেছিল?
উত্তর: চাষীর ছেলের বউ হাট থেকে সেরা ধানের বীজ কিনে এনেছিল।
৪.৫) সে কীসের বীজ এলেছিল?
উত্তর: চাষীর ছেলের বউ হাট থেকে সেরা ধানের বীজ এনেছিল।
8.৬) গল্পের কোন মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ ?
উত্তর:
*বুড়ে চাষী- সে তার বুদ্ধির জোরে অলস ছেলেকে, কঠের পরিশ্রমী করে তুলতে সক্ষম হল।
*চাষী - সে তার বাবার দেখানো পথে চলল, এবং কষ্ট করে তার প্রথম রোজগার করল।
*চাষী বউ - সে তার বুদ্ধিমত্তার ফলে তার স্বামীকে প্রতি পদে সাহায্য করেছে।
৫) নিজের ভাষায় উত্তর দাও :-
৫.১ "সেটা বলব বলেই তে ডেকেছি তোমায়" কে এই কথা বলেছে ? সে কাকে এই কথা বলেছে ? সে তাকে কি বলার জন্য ডেকেছিল?
উত্তর: উক্ত কথাটি বুড়ো চাষী বলেছে।
এই কথাটি সে তার ছেলেকে বলেছে।
চাষীর ছেলের ধারণা, তার বাবা তার জন্য অনেক সোনা কোথাও লুকিয়ে গেছে, এবং সেটা সে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করায় উক্ত কথাটি বুড়ো চাষী তার ছেলেকে বলে। বুড়ো চাষি বলে তাদের জমির নীচেই পোঁতা আছে লুকোনো সোনা। সে লুকোনো সোনা খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়ে চিরদিনের মতো চোখ বুঁজে দেয়।
৫.২ গল্পে চাষীর ছেলের বউ চাষীর ছেলেকে কি ভাবে সাহায্য করেছে তা লেখ।
উত্তর: গল্পে চাষীর ছেলের বউ ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। সে বুড়ো চাষির সোনা লুকোনোর আসল ব্যাপারটা আগেই বুঝে গেলেও তার স্বামীকে কিছু বলতে চাই নি। সে তার স্বামীকে সোনার লোভ দেখিয়ে চাষ করতে বাধ্য করে। সে বর্ষার আগে ধানের বীজ কিনে তার স্বামীকে জমিতে বীজ বোনার ব্যাপারেও জানায় এবং নিজে বীজ কিনে এনে দেয়। বীজ বোনার সময় তার স্বামীর জন্য খাবার ও তামাক সাজিয়ে ক্ষেতে নিয়ে যেত।
এভাবে গল্পে চাষীর ছেলের বউ চাষীর ছেলেকে সাহায্য করেছে।
৫.৩ ‘সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে’ - কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন জিনিসকে বোঝানো হয়েছে? সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কী কী মিল আছে?
উত্তর: চাষীর ছেলের বউ এই উক্ত কথা চাষীর ছেলেকে বলেছে।
সোনা বলতে এখানে ধানের ভালো ফলনকে বোঝানো হয়েছে
ধানের ফসল সোনা নয় কিন্তু পাকা ধানের রং সোনার সাথে মিল রয়েছে এবং চাষীদের কাছে ধানের ভালো ফলন সোনার চেয়ে কম কিছু খুশি আসে না।
৫.৪ চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কী কারণে খুব খুশি হলো?
উত্তর: মাঠে এত ভালো ফসল হওয়ায় তা যখন চাষীর ছেলে হাটে বিক্রি করে এক থলি টাকা বাড়ি নিয়ে আসে তখন তার বউ তার অলস স্বামীর প্রথম রোজগার দেখে খুব খুশি হয়।
৫.৫ চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কী পুরস্কার পেয়েছে?
উত্তর: বুড়ো চাষীর কথায় তার ছেলে পরিশ্রম করে মাটি খুঁড়ে সোনা না পেলেও তার বউয়ের বুদ্ধিতে সেই খোঁড়া মাটিতে বর্ষার আগে ভালো ধানের বীজ লাগিয়েছিল। তাদের এই পরিশ্রম আর বুদ্ধির কারণে তারা সোনা না পেলেও মাঠ ভর্তি ধানের ভালো ফলন পেয়েছিল।
৫.৬ ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী – তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ করা গেল?
উত্তর= চাষীর ছেলের বউ সতিই খুব বুদ্ধিমতী ছিল। যে প্রথমেই বুড়ে চাষীর মূল কথা টের পেয়ে যায় তবুও সোনার লোভ দেখিয়ে অলস স্বামীকে মাটি ঘুড়তে বলে। মাটি খুঁড়ে সোনা না পেলে চাষির ছেলে খুব হতাস হয়ে পড়ে। তখন চাষির ছেলের বউ নিজে হাট থেকে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনে এনে তার স্বামীকে বীজ বোনার বুদি দেয়। বর্ষার পরে যখন মাঠ ফসলে ভরে যায় তখন সে তার স্বামীকে বলে- যে তাদের বাবার কথা তো মিথ্যে নয়, তাদের জমিতে সত্যিই সোনা ফলেছে।
৬. সোনা সকলের কাছেই পছন্দের। কারণ তার কতগুলো গুণ আছে। সেই গুণগুলো পাশের বাক্স থেকে নিয়ে তুমি নীচের ফাঁকা জায়গাগুলোয় বসাও :-
৬.১ পিতলের থালাটা সোনার মতোই চকচকে ।
৬.২ পাকা ধান সোনার মতোই ঝলমলে ।
৬.৩ আসল সোনা দিয়ে গয়না বানানো যায় না।
৬.৪ রুপো চকচকে হলেও সোনার চেয়ে কম দামী ।